আতিকুর রহমান টিপু:
নিজের কিডনী দিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী বোনকে বাঁচিয়ে প্রমাণ করলো ভাই সম্পর্ক কতটা বড়। এমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো মুন্সিগঞ্জ সদর উজেলার মিরকাদিম পৌরসভায় এক ভাই তার বোনের জন্য।আবেগে আপ্রুত হয়ে এ মহত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে অনেকে।
রক্তের সম্পর্ক যেন স্বর্গের এক টুকরো সোনা রোদ।মানুষ এ সম্পর্কের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। এ বাধন লোহার প্রাচীরের চেয়েও যেনো মজবুত।স্বার্থের উপড় দাড়িয়ে থাকেনা এ সম্পর্ক।একজনের কিছু হলে অন্য প্রান্ত থেকে স্বজন ঠুকরে কেঁদে উঠে। তার নামই সম্পর্ক।যেনো সম্মহনী পবিত্রতার এক নির্মল নিদর্শন।বাবা-মা,ভাই- বোন সম্পর্ক যেনো সব বাধা উতরে গিয়ে তার লক্ষ্যে পৌছায়।সব বাধাই এ সম্পর্কের কাছে তুচ্ছ। কিন্তু কেনো যেনো বস্তুর উন্নতির সাথে সাথে এ সম্পর্কটিও একটু বাঁক নিয়েছে অন্য ভাবে।কেনো যেনো একটু স্বার্থের গন্ধ মিলছে অকারণেই। যা কাম্য নয় কখনোই।রক্তারক্তিও স্পষ্ট হর হামাশা।গর্ভধারিনী মায়ের কান্নায় বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল কেঁপে উঠে এখন।
যেনো গা শিহরিয়ে উঠার যন্ত্রণা।যে মা বাবা সন্তানকে না খেয়ে লালন- পালন করে স্বয়ং সম্পুর্ণ করেছেন সন্তানের আলিশান দালানের চিলেকোঠায়ও ঠাই নেই তাদের।সন্তান নিজের স্বার্থের জন্য আজ বেপোরোয়া।স্বার্থের জন্য ভাই ও বোনের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব।কখনো গড়াচ্ছে তা আদালত পাড়া পর্যন্ত।
নিজেকেই নিয়েই যখন অনেকে বিভোর তখন যেনো সম্পর্ক দুরত্বের ঘন্টায় কেবলই হাতিুরী পিটানোর শব্দ। সম্পর্কের তরঙ্গের যেনো অচীনপানে যাত্রা।স্বজনরা নিজেকে ছাড়া অন্যের জন্য ভাবতেই পারছেনা।
যখন সম্পর্ক প্রশ্ন ভারে জর্জরিত তখন স্বজনের বিপদে সম্পর্কের প্রতি কারো নিঃস্বার্থ বিরল দৃষ্টান্ত সম্পর্ককে অটুট রাখতে প্রেরণা যেনো বিকসিত হয়। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।স্মরণ করিযে দেয় সে আমার সহোদর ভাই।কিংবা সে আমার সহোদর বোন।
আমি বাঁচলে সে বাঁচবে। সে না বাঁচলে আমার বেঁচে থাকার অর্থ হয়না।তার গাযে যে একই রক্ত!নিজের জীবন বিপন্ন জেনেও বোনকে কিডনী দিয়ে বাঁচিয়ে সম্পর্কের হালে জল ছিটিয়ে বিরল উদাহরণ রাখলো ভাই নুরে বাশার সাথিল (৩৩)।
সে মীরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হোসেন মেম্বারের নাতি।সাথিলের পিতার নাম আবুল বাসার।চারদিন আগে সাথিল তার ছোট বোন লাবিবা সমাইয়া আইভি(২৯) কে কিডনী প্রদান করেন।
তরতাজা তরুণ সাথিলের আর্তি আমার আদরের বোনটিকে মরতে দেবোনা।ঢাকার CKD হাসপাতালে
কিডনী ট্রান্সফার হয়।বোনের জন্য ভাইয়ের এ মহৎ উদ্যােগ স্মরনীয় হয়ে থাক। উদ্বদ্ধ হোক এ মহৎ ত্যাগ স্বজন থেকে স্বজনে।