মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলার ৫ উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইনে কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪এপ্রিল বুধবার দুপুরে জেলার পৌর শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রবীণ সাংবাদিক,বীর মুক্তিযোদ্ধা, এডভোকেট আক্তারুজ্জানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, শেরপুর -১,সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু।এসময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের এমপি অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী।জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী রবিন এর সঞ্চালনায় এসময় প্রিয় অতিথি ছিলেন,শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম।প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান।বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো.গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.রফিকুল ইসলাম, জেলা যুব লীগের সভাপতি ও কামারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্য জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের কাছে তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান করে বলেন, ” আপনার জাতির বিবেক,আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে শেরপুর-৩ আসনের আপামর জনসাধারণের সেবা সহ উন্নয়ন করতে চাই। এছাড়া আমি দুই উপজেলার প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষেত্র বিশেষ অনেক কথা বলতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমার কোথাও যদি কোন ভুল থাকে,সেক্ষেত্রে আমাকে ভুল না বুঝে সুধরানোর সুযোগ দিবেন।তার এই বক্তব্যকে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ডিজিটালে ” অনিয়মের নিউজ করায় সাংবাদিকদের শাসালেন এমপি শহিদুল” শিরোনামে তার বক্তব্যের ভিডিও প্রচার করায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,আপনার জাতির বিবেক। আমি আমার বক্তব্যে কোন সাংবাদিককে শাসায়নি। আমি চেয়েছি সকল সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা। কেন ওই মিডিয়া কর্মি আমাকে নিয়ে এমন শিরোনামে ভিডিও পাঠিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করেছে, সেটা আমার অজানা। তিনি আক্ষেপের সাথে আরো জানান,শতাধিক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আমি বক্তব্য দিয়েছি। উপস্থিত সাংবাদিকরাই তার প্রমাণ।