সিলেট ব্যুরো:
চরমোনাইর পীর মুফতী ফয়জুল করিম বলেছেন, অবিলম্বে সিলেটের বন্ধ থাকা সকল পাথর কোয়ারী খুলে দিতে হবে। কাল বিলম্ব না করে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় করা হবে। তিনি রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে পাথর শ্রমিকদের সমস্যা সমাধাণ কোন পথে শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, চুদুর বুদুর করলে চলবে না, ছাত্র-শ্রমিক জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট খুনী আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে, খুনী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শ্রমিকদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। সুতরাং লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করা যাবে না। তিনি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী সনাতন পদ্ধতিতে খুলে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন বারের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আরিজ আহমেদের সভাপতিত্বে ও আন্দোলনের সচিব সৈয়দ ফখরুল ইসলাম ও যুগ্ম সচিব, ইসলামিক ছাত্র মজলিসের সাবেক সভাপতি ছাত্রনেতা বিলাল আহমেদ চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সিলেটের সাংবাদিক আবু হোসেন। গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক মহিউদ্দিন আলমগীর, দৈনিক মানবজমিনের বিশেষ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জওহার ইকবাল খান, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, শ্রম মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল জলিল, নয়াদিগন্তের সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সামিউল ইসলাম রনি, সুনামগঞ্জের সাংবাদিক আল হেলাল, যুবায়ের আহমেদ তোফায়েল, জাকির হোসেন রবিন, রাহাদুজ্জামান, মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের জিএম রহমান, পাথর শ্রমিক নেতা ফয়জুল ইসলাম,জহিরুল ইসলাম, মোঃ সুমন আহমেদ, আন্দোলনের উপদেষ্টা ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমদ, জালাল উদ্দিন মেম্বার, মজির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আজগর হোসেন ও ইকবাল হোসেন ইমন প্রমুখ।