ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে নেমে এলো বাণ,
ক্রমে ভেসে গেল এখান ওখান,
দেখে যেনো মনে হয়,ধ্বংসিবে এবার
যতসব মানুষের সীমাহীন
দ্বন্দ্ব, অহঙ্কার।
জড়ো বৃষ্টি হাওয়ায় সৌদামিনী চমকায়,
পাল তুলে ডিঙি নৌকায়।
মাঝিরা সব মাঝগাঙে
ঈশ্বর আল্লাহর প্রার্থনায়–
নদীগর্ভে যেনো ঘরবাড়ি
তলিয়ে না যায়।
বাণেশ্বর বিচারিবেনা,
শহর কিবা গ্রামান্তরে ।
রুদ্ররূপী নদীর এপার বাংলা,
ওপার বাংলা যেনো,
মহাসমুদ্রের আকার।
কতো গাছ-গাছালি ভেসে যায় বন্যায়,
তার উপর বসে থাকে
মাছরাঙা, বক, চিল
খাবার ঝুটাবার আশায়।
কত সাপ, ব্যঙ, শামুকেরা
দিশেহারা প্রবল বন্যায়।
মেঘ শেষে রমরমা আকাশ,
মধূর হাসি হাসে রোদের ঝলকে।
অবশেষে——-
বন্যা ছাড়ি যায় রত্নগর্ভা পলিমাটিরে,
ধনধান্য, ফল-ফসল
পুনর্বার উদিবারে।
……গৌরীশ দাস….
ভারত,কাছাড় ( আসাম)